শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
ফেনীর সোনাগাজীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ১৬ আসামির ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন তার বাবা এ কে এম মুসা। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নুসরাতের বাবা। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রশাসন ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।এর আগে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।ফেনী জজকোর্টের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সেই অর্থ নুসরাতের পরিবারকে দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা, নূর উদ্দিন, সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, শাহাদাত হোসেন শামীম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মহিউদ্দিন শাকিল এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি রুহুল আমীন।চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।এ ঘটনায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।